মজার মজার গল্প পড়ুন

গল্প পড়ুনগল্প-০১, একটি ভূতুড়ে স্বপ্ন
রাত ১২টা মা আমাকে ঘুমাতে বলল। তো আমি গিয়ে শুয়ে পড়লাম। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি তখন ঠিক রাত ১টা বাজে। আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। তারপর শুরু হলো আমার ভয়ঙ্কর স্বপ্ন। আমি দেখি যে আমি একটা বনের মধ্যে। খবই নিরব জায়গাটা। আমি হাঁটতে থাকি হাঁটতে হাঁটতে আমি বন পার হয়ে যাই। বন পার হতেই আমি একটি শশ্বান দেখতে পাই। আমি শ্বশানের পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম। হঠাৎ আমি কারো চিৎকার শুনতে পাই। আমি শব্দ অনুসরণ করে চলতে থাকি। আমি দেখি যে একটা ভূত একটা ছেলেকে গিলে খাচ্ছে। আমি তক্ষুনি একটা পাথরের আড়ালে লুকিয়ে পড়ার চেষ্টা করলাম। আমি খেয়াল করে দেখলাম তার কপাল থেকে চুল পর্যন্ত লাল আগুনের মতো। নিচের দিকটা সাদা ও তার পা নেই। হটাৎ ভূতটা আমাকে দেখে ফেলে, আমি তক্ষুনি দৌড়াতে শুরু করি। দৌড়াতে দৌড়াতে আমি সামনে একটা মশাল দেখতে পাই। আমি সেই মশালটা নিয়ে তার দিকে ছুঁড়ে মারি, কিন্তু মশালটা তাকে স্পর্শ করলো না, তার ভিতর দিয়ে চলে গেল। আমি আবার দৌড়াতে থাকি। হটাৎ আমি হোঁচট খেয়ে পড়ে যাই। সে আমায় ধরে ফেলল এবং যখনই আমাকে খেতে যাবে তখনই আমার ঘুম ভেঙে গেল, আমি দেখলাম আমার পুরো শরীর ঘেমে গেছে। এবং এখানেই শেষ হলো আমার ভয়ংকর স্বপ্ন।
-আব্দুল্লাহ আল রোহান
৪র্থ শ্রেণী, দিবা শিফট, রোল ০৬
যশোর জিলা স্কুল। গল্প-০২, ভূতুড়ে রিকশাওয়ালা
আমি বিকেলে কোচিংয়ে যায়। আমাদের ক্লাস করায় প্রায় ৩ঘণ্টা মতো। আমার জন্য একটি রিকশা ঠিক করা থাকে এবং আমার বাসায় আসতে সময় লাগে ৩০মিনিট। আমি ৬টার ১০মিনিট আগে কোচিংয়ে যায়। তো আসতে আসতে রাত হয়ে যায়। তো একদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল এজন্য কোচিং থেকে বের হতে ৩০মিনিট দেরি হয়ে গেল। কোচিং থেকে বেরিয়ে এসে দেখি ১০টা বেজে গিয়েছে। রিকশাওয়ালা আমায় নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। তাড়াতাড়ি রিকশায় উঠে বসলাম। রিকশা চলতে থাকলো, হঠাৎ একটা বড় বজ্রপাত হলো আমি এতে আনেক ভয় পেলাম হঠাৎ রিকশাওয়ালা অনেক ভারি গলায় বলল, তুমি অনেক ভয় পেয়েছ তাই না? লোকটার কথা আমার কাছে সন্দেহজনক লাগল, তাছাড়াও লোকটার গলা এত ভারি ছিল না। এবার আমি দেখলাম, সে কিছু একটা খাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভয় পেলাম যে, লোকটি যে খাবার খাচ্ছিল সেটা থেকে রক্ত পড়ছিল। সে হঠাৎ রিকশাটা থামিয়ে দিল। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি খাচ্ছেন? এবং আপনি রিকশা থামালেন কেন? সে পিছনে ঘুরে আমার দিকে তাকিয়ে রইল, আমি দেখলাম তাঁর চোঁখ দুটো আগুনের মতো লাল এবং লোকটার মুখ থেকে গোস্ত খাবলে খাবলে খাচ্ছে। এটি দেখে আমি চিৎকার করে উঠলাম। তখনো বাড়ি পৌছাতে আমার ১৫ মিনিট সময় লাকবে। সে হঠাৎ আমার উপর আক্রমন করল, আমি কোন রকমে তাঁর আক্রমন থেকে বেঁচে গেলাম এবং রিকশা থেকে দৌড় দিলাম। আমার কাঁধের ব্যাগের জন্য বেশি জোরে দৌড়াতে পারছিলাম না। সে আমার খুব কাছে চলে এলো। আমি ভাবলাম ব্যাগ যাই যাক জীবন বাঁচাতে হবে আগে, তখন কাঁধের ব্যাগটা ফেলে দৌড় দিলাম। আমার বাসা বেশি দূরে ছিল না, আমি হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলাম। জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হসপিটালের বেডে এবং আমার পাশে আমার আম্মু বসে আছে। আমি আম্মুর কাছে জিজ্ঞেস করলাম আমি কতক্ষণ অজ্ঞান ছিলাম? আম্মু বলল, ১৪ ঘণ্টা। আমি গতকাল রাতের কথা কাউকে বললাম না। আমি সুস্থ হয়ে বাসায় আসলাম এখন আর ঐ রিকশাওয়ালাটাকে দেখা যায় না। এটি একটি কাল্পনিক গল্প এজন্য কেউ এই গল্প সত্যি মনে করে ভয় পাবেন না। -আব্দুল্লাহ আল রোহান
৪র্থ শ্রেণী, দিবা শিফট, রোল ০৬
যশোর জিলা স্কুল।

Post a Comment